ebanglaschools app




application

অলংকার


অলংকার 


সংজ্ঞাঃ সাহিত্য স্রষ্টাদের রচনাকৌশল কাব্যের শব্দ ধ্বনি কে শ্রুতি মধুর ও অর্থ ধ্বনিকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলে তাকে অলংকার বলে ৷

কাব্য বহিরঙ্গে শব্দময়ী ও অন্তরঙ্গে অর্থময়ী তাই  অলংকার দুই প্রকার - 

                                                    শব্দালঙ্কার ও অর্থালঙ্কার

শব্দালংকার - শব্দের বহিরঙ্গ ধ্বনির আশ্রয় যে কাব্যসৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে শব্দালংকার বলে ৷
অর্থালংকার  - শব্দের অন্তরঙ্গ অর্থের আশ্রয় যে কাব্যসৌন্দর্য সৃষ্টি হয় তাকে অর্থালংকার বলে ৷


শব্দালংকার

শব্দালংকার তিন প্রকার

  1. অনুপ্রাস 
  2. যমক
  3. শ্লেষ














অর্থালংকার
























মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নপত্র ৩


ebanglaschools
Madhyamik
Mock test 3
Full Marks - 25    Time: 50 munites
[ হাতের লেখা পরিস্কার বাঞ্ছনীয়। বানান ভূল হলে নম্বর কাটা যাবে ]



১। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।    ৫ x ১
ক। ফাউন্টেন পেন কে আবিস্কার করেন?
খ। 'আমরা ফিরেছি দোরে দোরে' - দোরে দোরে ফেরার অর্থ কী?
গ। আফ্রিকা কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের থেকে নেওয়া হয়েছে?
ঘ। বিশ্বমায়ের আসন বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ঙ। রত্নসেনের প্রথমা স্ত্রীর নাম কী?

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ২ x ৫
ক। সিরাজদৌল্লা নাটকে সিরাজের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।
খ। " আমাদের ইতিহাস নেই " -আলোচ্য অংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ১ x ৫
ক। বাংলার উৎসব ( প্রবন্ধ রচনা )

৪। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ৫ x ১
ক। আমেরিকায় পপুলার সায়েন্স লেখা সুসাধ্য। ( কারক ও বিভক্তি )
খ। আনন্দে সে পাগলা হয়ে গেছে । ( কারক ও বিভক্তি )
গ। ছেলেবেলায় আমাকে অঙ্ক করতে হয়েছিল ।( ন-ঞরথক বাক্যে রূপান্তর )
ঘ। হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড।  ( সমাস নির্ণয় )
ঙ। জনপ্রিয় কবি শ্রীজাত । ( সমাস নির্ণয় )




***

This questions in PDF format



বি.দ্র- অসদ উপায় অবলম্বন না করে যথাযথ ভাবে উত্তর পত্র তৈরী করে গৃহশিক্ষক কে দেখিয়ে তোমার বর্তমান স্থান সম্পর্কে সচেতন হও।.

উচ্চ মাধ্যমিক ২০২০ - বাংলা প্রশ্ন পত্র ৩ - Mock test



ebanglaschools
Mock test 3
Higher Secondary
Full Marks - 30    Time: 1 Hour
[ হাতের লেখা পরিস্কার বাঞ্ছনীয়। বানান ভূল হলে নম্বর কাটা যাবে ]

১। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।    ৫ x ১
ক। ‘সেই ডেকে আনলে’ – কে কাকে কোথা থেকে ডেকে আনলে
খ। ‘রাতে ঘুম হয়না’ কার কেন ঘুম হয়না?
গ। “এ জগত স্বপ্ন নয়” কেন?
ঘ। ‘সবুজের অনটন ঘটে’ – অনটন ঘটার কারণ কি?
ঙ।  নানা রঙের দিন কোন নাট্যকারের , কোন নাটকের অনুবাদ?

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। (২টি)   ২ x ৫
ক। ‘রূপনারানের কুলে জেগে উঠিলাম’-কবি রূপনারান বলতে কী বুঝিয়েছেন?এই কূলে তার জেগে ওঠার তাৎপর্য কি?
খ। নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামল -  কে কেন নদীতে নামল? নামার পর কী হল?
গ। চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসে তার’ – কার কেন চোখ ঠিকরে বেড়িয়ে আসে? তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

৩। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ১ x ৫
ক। সব কাজেই দাফার ডাক পড়ে’ – দাফার পরিচয় দাও। তার জীবনের করুন পরিণতির বর্ণনা দাও।
 
৪।
 নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও।  ৫ x ২
ক।
ভাঙা গান কী? রবীন্দ্রনাথের ভাঙা গানের পরিচয় দাও।
খ।
যামিনী রায়ের চিত্রকলা সম্পর্কে আলোচনা করো।
***
This Questions PDF

ভারত-তীর্থ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ভারত-তীর্থ

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


হে মোর চিত্ত,পূণ্য তীর্থেজাগো রে ধীরে--
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।
হেথায় দাঁড়ায়ে দু-বাহু বাড়ায়ে নমি নর-দেবতারে,
উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দন করি তাঁরে।
ধ্যান-গম্ভীর এই যে ভূধর, নদীজপমালাধৃত প্রান্তর,
 হেথায় নিত্য হেরো পবিত্র  ধরিত্রীরে
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।


কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা
দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে সমুদ্রে হল হারা।
হেথায় আর্য, হেথা অনার্য হেথায় দ্রাবিড়, চীন--
শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।
পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার, সেথা হতে সবে আনে উপহার,
দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে  যাবে না ফিরে,
এই ভারতের মহামানবের  সাগরতীরে।


রণধারা বাহি জয়গান গাহি উন্মাদ কলরবে
ভেদি মরুপথ গিরিপর্বত যারা এসেছিল সবে,
তারা মোর মাঝে সবাই বিরাজে কেহ নহে নহে দূর,
আমার শোণিতে রয়েছে ধ্বনিতে তারি বিচিত্র সুর।
হে রুদ্রবীণা, বাজো, বাজো, বাজো, ঘৃণা করি দূরে আছে যারা আজও,
বন্ধ নাশিবে, তারাও আসিবে দাঁড়াবে ঘিরে
এই ভারতের মহামানবের  সাগরতীরে।


হেথা একদিন বিরামবিহীন  মহা ওংকারধ্বনি,
হৃদয়তন্ত্রে একের মন্ত্রে  উঠেছিল রনরনি।
তপস্যাবলে একের অনলে বহুরে আহুতি দিয়া
বিভেদ ভুলিল, জাগায়ে তুলিল একটি বিরাট হিয়া।
সেই সাধনার সে আরাধনার যজ্ঞশালায় খোলা আজি দ্বার,
হেথায় সবারে হবে মিলিবারে আনতশিরে--
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।


সেই হোমানলে হেরো আজি জ্বলে দুখের রক্ত শিখা,
হবে তা সহিতে মর্মে দহিতেআছে সে ভাগ্যে লিখা।
এ দুখ বহন করো মোর মন শোনো রে একের ডাক।
যত লাজ ভয় করো করো জয় অপমান দূরে থাক।
দুঃসহ ব্যথা হয়ে অবসান জন্ম লভিবে কী বিশাল প্রাণ।
পোহায় রজনী, জাগিছে জননী বিপুল নীড়ে,
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।



এসো হে আর্য, এসো অনার্য, হিন্দু মুসলমান।
এসো এসো আজ তুমি ইংরাজ, এসো এসো খৃস্টান।
এসো ব্রাহ্মণ শুচি করি মন ধরো হাত সবাকার,
এসো হে পতিত করো অপনীত সব অপমানভার।
মার অভিষেকে এসো এসো ত্বরা    মঙ্গলঘট হয় নি যে ভরা,
সবারে-পরশে-পবিত্র-করা তীর্থনীরে।
আজি ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।


ব‌ই-ট‌ই - প্রেমেন্দ্র মিত্র



ব‌ই-ট‌ই
প্রেমেন্দ্র মিত্র


ব‌ই তো পড়ো, ট‌ই পড়ো কি?
তাই তো কাটি ছড়া।
ব‌ই পড়া সব মিছে-ই যদি
না হল ট‌ই পড়া।

ট‌ই পড়া যায় পড়তে কোথায়?
বলছি তবে শোনো।
ব‌ই-এর মাঝে লুকিয়ে থাকে
ট‌ই সে কোনও কোনও।

আর পাবে ট‌ই সকালবেলা
ব‌ই থেকে মুখ তুলে
হঠাৎ যদি বাইরে চেয়ে
মনটা ওঠে দুলে।

ট‌ই থাকে সব রোদ- মাখানো
গাছের ডালে পাতায়,
ট‌ই থাকে সেই আকাশ- ছোঁয়া
খোলা মাঠের খাতায়।

ট‌ই চমকায় বিজলি হয়ে
আঁধার- করা মেঘে,
খ‌ই হয়ে ট‌ই ফোটে দিঘির
জলে বৃষ্টি লেগে।

ট‌ই কাঁপে সব ছোট্ট পাখির
রংবেরঙের পাখায়
খোকা- খুকুর মুখে আবার
মিষ্টি হাসি মাখায়।

ব‌ই পড়ো খুব, যত পার,
সঙ্গে পড়ো ট‌ই।
ট‌ই ন‌ইলে থাকত কোথায়
এতরকম ব‌ই।।


জাতের বজ্জাতি - কাজী নজরুল ইসলাম




জাতের বজ্জাতি 
 কাজী নজরুল ইসলাম 

জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াত খেলছে জুয়া
ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয় তো মোয়া॥
হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি, ভাবলি এতেই জাতির জান,
তাই তো বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশো-খান!
এখন দেখিস ভারত-জোড়া
পচে আছিস বাসি মড়া,
মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া॥


জানিস না কি ধর্ম সে যে বর্মসম সহনশীল,
তাকে কি ভাই ভাঙতে পারে ছোঁয়া-ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল।
যে জাত-ধর্ম ঠুনকো এত,
আজ নয় কাল ভাঙবে সে তো,
যাক না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া॥

(সংক্ষেপিত)

আছেন কোথায় স্বর্গপুরে - লালন ফকির


আছেন কোথায় স্বর্গপুরে
লালন ফকির 

আছেন কোথায় স্বর্গপুরে কেউ নাহি তার ভেদ জানে।
কেন জিজ্ঞাসিলে খোদার কথা দেখায় আশমানে।।

পৃথিবী গোলাকার শুনি
      অহর্নিশি ঘোরে আপনি।
তাইতে হয় দিন-রজনী
      জ্ঞানী গুনী তাই মানে।।

একদিকেতে নিশি হলে
     অন্যদিকে দিবা বলে।
আকাশতো দেখে সকলে
     খোদা দেখে কয়জনে।।

আপন ঘরে কে কথা কয়
    না জেনে আসমানে তাকায়।
লালন বলে কেবা কোথায়
   বুঝিবে দিব্যজ্ঞানে।।

আঁকা লেখা - মৃদুল দাশগুপ্ত

আঁকা লেখা 
মৃদুল দাশগুপ্ত 

রঙ ছড়িয়ে খুশ খেয়ালে আমি যখন চিত্র আঁকি
তিনটি শালিক ঝগড়া থামায়, অবাক তাকায় চড়ুই পাখি
মৎস্য ভুলে মাছরাঙা তার নীল রঙটি ধার দিতে চায়
প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে  তাদের রাখি আমার আঁকায়
গর্ত থেকে ইদুর, সেটাও পিটপিটে চোখ দেখছে চেয়ে
রঙ তুলিরা বেজায় খুশি আজ দুপুরে আমায় পেয়ে!

ওই যে মাঠে চাঁদের দুধের সর জমে যায় যখন পুরু
বাতাস ঈষৎ কাঁপন দিতেই আমার ছড়া লেখার শুরু
এবার যেন তারার মালা খুব গোপনে নামছে কাছে
'অ' লিখছে 'আ' লিখছে দশ জোনাকি বকুল গাছে
এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনলো হাওয়া
সেই তো আমার পরম পুলক, সেই তো আমার পদক পাওয়া !