বাচ্য

বাচ্য

বাক্যের বিভিন্ন ধরণের প্রকাশভঙ্গিকে বাচ্য বলে। বাক্যের ক্রিয়ার রূপ বা অবস্থান পরিবর্তনের কারণে বাক্যের প্রকাশভঙ্গি পরিবর্তিত হয়। 
বাচ্যের  ৩ প্রকার:-
                             ১।কর্তৃবাচ্য 
                             ২।কর্মবাচ্য 
                             ৩।ভাববাচ্য

কর্তৃবাচ্য :- যে বাক্যে কর্তাই প্রধানরূপে প্রতিয়মান হয় এবং ক্রিয়া কর্তাকে অনুসরণ করে তাকে আমরা কর্তৃবাচ্যের বাক্য বলি।
কর্তৃবাচ্যের বৈশিষ্ট্য:-
ক] ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয় ।
খ] কর্তার সাথে বিভক্তি যোগ হয় না।
গ] কর্মপদ প্রানী বাচক হলে তার সাথে কে, রে,য় বিভক্তি যুক্ত হয়।
ঘ] কর্মপদ বস্তু অপ্রানী/বস্তু হলে তার সাথে '০' বিভক্তি যুক্ত থাকে। 

উদাহরণ:- রাম বাংলা পড়ছে।

কর্মবাচ্যঃ - যে বাক্যে কর্মের প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্মের অনুগামী হয় তাকে কর্মবাচ্যের বাক্য বলে।
কর্মবাচ্যের বৈশিষ্ট্য:- 

ক] ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়।
খ] বস্তুবাচক কর্মপদের সাথে '০' বিভক্তি যুক্ত হয়।
গ] ব্যাক্তিবাচক কর্মপদের সাথে ২য়া বিভক্তি যুক্ত হয়।
ঘ] কর্তায় ৩য়া বিভক্তি যুক্ত হয়।
ঙ] কর্মবাচ্যের ক্রিয়ার রূপ পুরাঘটিত হয়।

উদাহরণ:- তাহার দ্বারা কাজটা সমাপ্ত হয়েছে। 

ভাব বাচ্য:- যে বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই প্রাধান্য পায়, কর্তা বা কর্মের মুখ্য ভুমিকা থাকে না তাকে ভাব বাচ্যের বাক্য বলে।
ভাব বাচ্যের বৈশিষ্ট্য:-

ক] ভাব বাচ্যের ক্রিয়া সব সময় নামপুরুষের ক্রিয়া হয়।
খ] ভাববাচ্যের কর্তায় ২য়া, ৩য়া, ও ৬ষ্টী বিভক্তি যুক্ত হয়।
গ] ভাব বাচ্যে কর্তা উহ্য থাকতে পারে।
ঘ] কর্মপদ দ্বারাও ভাববাচ্য গঠিত হতে পারে। 
উদাহরণ:- সে কত ভালো মানুষ।

1 comments: