সংক্ষিপ্ত আলোচনা - তিন পাহাড়ের কোলে


[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ebanglaschools এর সমস্ত আলোচনা কোনো পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গের জন্য নয়। সাধারণ এবং অতি সাধারণ পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্যই এই উদ্যোগ। তাদের কথা ভবেই এই আলোচনার প্রচেষ্টা। বিশিষ্টরা দূরে থাকুন । আমাদের একান্ত অনুরোধ যদি ছাত্র ছাত্রীরা এই আলোচনা থেকে উপকৃত হও তাহলে নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভূলে যেও না। ]    

সংক্ষিপ্ত আলোচনা – তিন পাহাড়ের কোলে

শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রচলিত ছন্দের একেবারেই ব্যতিক্রমী ধারার কবিতা 'তিন পাহাড়ের কোলে'।কবিতা সবসময়ই দুটো অর্থ বহন করে একটি বাইরের অর্থ অন্যটি ভেতরের অর্থ। বাইরের অর্থে, কোনো এক রাত্রির পরিবেশে তিন বন্ধুর ভ্রমণের গল্প বলে এই কবিতাটি। কবি জানান তিন বন্ধু মিলে কোনো একদিন রাত্রে পৌঁছায় পাহাড়ি কোনো এক অঞ্চলে। সেখানকার পাহাড়ি পরিবেশের সৌন্দর্য কবির চোখে যেন স্মৃতি হয়ে থেকে গেছে বহুকাল। একদিকে পাহাড়ি অঞ্চলের অপার সৌন্দর্য, অন্যদিকে চারিদিকের নিস্তব্ধতায় কবি মন ভাসতে ভাসতে পৌঁছে যায় কোনো এক অপার সৌন্দর্যের জগতে। তাই কবি বলতে চেয়েছেন এমন সৌন্দর্য শুধু কবিকেই নয় সকল ভ্রমণ পিপাসু মানুষকেই মুগ্ধ করে।
       কবি দ্বিতীয় পংতিতে বলেন পাহাড়ি অঞ্চল এমন এক ধাঁধার মত তার ভৌগলিক সীমানা এমনই যে চাইলেই এক পথ ছেড়ে অন্য পথ ধরে হারিয়ে যাওয়া যায়। আর চারিদিকে ছড়িয়ে ছটিয়ে থাকা প্রবল জলোচ্ছ্বাস, স্তূপাকৃতি পাথর , বড় বড় গাছকে যেন ছুঁয়ে নিজেকে অনুভব করা যায় সহজেই। আর নিজেকে অনুভব করতে পারলেই কবি মন হারিয়ে যায় কোনো এক নীল নীলিমায়। আর সেখানেই একান্তে জমে থাকা কথা গুলো নিজের অজান্তেই ধরা দেয় মনে। সেই ভালোলাগা কেবল বলে বোঝাবার মত নয়।
       কবিতার দ্বিতীয় পংতিতে তিনি বলেন, পাহাড়ের সৌন্দর্য তখনই প্রকাশিত হয় যখন রাত্রির অন্ধকার কাটিয়ে ভোরের আলো দেখা দেয় , চারিদিক ঝলমল করে ওঠে। কবি এই সৌন্দর্যে নব বধূর ঘোমটার সাথে তুলনা করেছেন। আর সেই নতুন ভোরের আলোয় যদি উপর থেকে গোটা পাহাড়কে দেখা যায় দেখা যাবে পাহাড়ের বুকের মধ্যে যেন শত শত গ্রাম মেঘের মধ্যে ভেসে আছে। কবি এই সৌন্দর্যের সামনে দাঁড়িয়ে  বলতে চেয়েছেন, প্রতিদিনের কোলাহল মুখর একঘেয়ে জীবন যাপনের মধ্যে এই সৌন্দর্যকে কখনই উপভোগ করা যাবে না। খাঁচা থেকে বেড়িয়ে এসে পাহাড়ি গ্রামের জনজীবন অর্থাৎ তাদের সংস্কৃতি তাদের যাপন ও পাহাড়ের বিচিত্র সৌন্দর্যকে প্রত্যক্ষ করতে পারলেই নিজের শৈশব অর্থাৎ ভেতরের আমিকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
       কবিতার বাইরের অর্থের পাশাপাশি থেকে যায় ভেতরের অর্থও। এই কবিতায় কবি সমকালীন সময়ের সামাজিক অবস্থায় জর্জরিত সাধারণ মানুষের মুক্তির কথাই যেন বলতে চেয়েছেন।
















copywrite ebanglaschools
পুনর্মুদ্রণযোগ্য নয়।

16 comments:

  1. Faltu.... pacha.....bad.....kharap.....ar amar kache word nei bolar moto.
    aa thu...

    ReplyDelete
    Replies
    1. অসংখ্য ধন্যবাদ তোমায়। নীচের সাজেশন বক্সে তুমি তোমার লেখাটি আমাদের পাঠাতে পারো। তোমার নাম সহ তোমার লেখাটি প্রকাশিত হতে পারে আমাদের পেজে। অনেক ভালোবাসা রইল।
      #Regards_ebanglaschools

      Delete
  2. Replies
    1. অনেক অনেক ভালোবাসা।
      #ebanglaschools

      Delete
  3. Thanks amar project a khub karjokor holo

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালোবাসা নিও। আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলে যেও না।
      #ebanglaschools

      Delete
  4. খুবই সমৃদ্ধ লেখনী। অনেক উপকৃত হয়েছি।

    ReplyDelete
  5. It's help me a lot from you ☺️

    ReplyDelete
  6. খুবই ভালো লাগলো বাংলা কন্টেন্ট পেয়ে।
    কবিতার অন্তর্হিত বিষয়বস্তু আর একটু ব্যাখ্যার প্রয়োজন বলে মনে হল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা মনে হল সেটা লিখে আমাদের পাঠাতে পারেন। নীচের লিংকে ক্লিক করে- https://www.facebook.com/ebanglaschool

      Delete
  7. It helped...thanks

    ReplyDelete
  8. Ooo baby urie felecho

    ReplyDelete
  9. ধন্যবাদ আপনাকে,এত সহযোগীতা করার জন্য।

    ReplyDelete