সংক্ষিপ্ত আলোচনা - লোকটা জানলই না


সংক্ষিপ্ত আলোচনা - লোকটা জানলই না

সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'লোকটা জানলোই না' কবিতায় একজন অর্থ সর্বস্ব ধনবান লোকের কথা বলা হয়েছে। সেই লোকটা অর্থের পিছনে সারা জীবন ছুটে গেছে।আর সে বাঁদিকের বুক পকেটটা সামলাতে সারাজীবন । কিন্তু তার বুকপকেটের নিচে ছিল তার হৃদয়।অর্থাৎ তার মন,  ইচ্ছা ।যে মনকে সে  কখনোই প্রাধান্য দেয়নি। কেবল অর্থের পিছনে ছুটে গেছে বারবার। যে হৃদয়ের ঐশ্বর্য অর্থ দিয়ে পরিমাপ কর যায়না। এটা সে কখনই বোঝনি। অর্থময় জীবনকে গড়তে গিয়ে নিজের ভালোলাগাকে খোঁজেনি কখনো। সে যন্ত্রের মতো নিজেকে তৈরি করে অর্থ রোজগার করে গেছে প্রতিনিয়ত।
একসময় সে তার লক্ষ্যে পৌঁছেছে।অর্জন করেছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। কিন্তু তার মধ্যে তো কোনও জীবন নেই ।তাই তার বিয়ের পর ঘরে লক্ষ্মী এলেও সে এবং তার স্ত্রীর ভালোলাগা ভালবাসাকে কখনো বুঝতে পারেনি। অর্থাৎ জীবনকে অনুভব করতে পারেনি । কিন্তু যখন বৃদ্ধ বয়সে এসে তার গোটা জীবনকে দেখতে চেয়েছে বারবার, যখন সে অনুভব করতে চেয়েছে ,  তখন তার সামনে নেমে এসেছে কেবল শূন্যতা আর হতাশা। অর্থ রোজগার করতে গিয়ে জীবনের আসল সময় কখন সে চলে গেছে সে জানতেই পারেনি । তাই লেখক বলেছেন-
একদিন গোগ্রাসে গিলতে গিলতে 
দু আঙুলের ফাঁক দিয়ে  
কখন খসে পরল তার জীবন 
লোকটা জানলোই না।