বাক্য
বাক্যের শ্রেণিবিভাগ
অর্থ অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণিবিভাগের ভিত্তিতে বাক্যকে ৮ ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
- 1. বিবৃতিমূলক বাক্য
- 2. প্রশ্ন সূচক বাক্য
- 3. অনুজ্ঞা সূচক বাক্য
- 4. প্রার্থনা সূচক বাক্য
- 5. সংশয় সূচক বাক্য
- 6. আবেগ সূচক বাক্য
- 7. শর্ত সূচক বাক্য
- 8. ইচ্ছা সূচক বাক্য
বিবৃতিমূলক
বাক্যঃ কোন কিছু সাধারণভাবে বর্ণনা করা হয় যে বাক্যে, তাকে বিবৃতিমূলক
বাক্য বলে। বিবৃতিমূলক বাক্য দুই প্রকার- ১। হাঁ বাচক ২। না
বাচক
উদাহরণঃ
১।
আজ দোকানপাট বন্ধ থাকবে। (হাঁ বাচক)
২।
কাল মামাবাড়ি যাব না । (না বাচক)
প্রশ্ন সূচক
বাক্য ঃ যে বাক্যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয় তাকে প্রশ্ন সূচক বাক্য বলে।
উদাহরণঃ
১। তুমি কোথায় থাকো ?
অনুজ্ঞা
সূচক বাক্যঃ যে বাক্য দ্বারা আদেশ , অনুরোধ, উপদেশ বোঝায় তাকে অনুজ্ঞা
সূচক বাক্য বলে
উদাহরণঃ
১
। হে ঈশ্বর , সকল কে ভালো রেখো।
বিস্ময়সূচক
বাক্যঃ যে বাক্যে আশ্চর্য হওয়ার অনুভূতি প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক
বাক্য বলে।
উদাহরণঃ
১।
সে কী ভীষণ ব্যাপার!
সংশয়সূচক বাক্যঃ যে বাক্যে বক্তার মনের সন্দেহ , সংশয় ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য বলে।
উদাহরণঃ
১। শুনলাম কাল বোধহয় সে বেড়াতে যাবে !
আবেগসূচক বাক্যঃ যে বাক্যে বক্তার মনের বিস্ময় ভয় ঘৃণা আনন্দ
ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, তাকে বিস্ময়সূচক বাক্য
বলে।
উদাহরণঃ
১। বাহ কি সুন্দর আকাশ !
শর্ত সূচক বাক্যঃ যে বাক্যে শর্ত বা কারনের উল্লেখ থাকে তাকে অনুজ্ঞা সূচক বাক্য বলে ।
উদাহরণঃ
১ । মেঘ হলে বৃষ্টি হয় ।
ইচ্ছা সূচক বাক্যঃ যে বক্তার মনের বাসনা বা ইচ্ছা প্রকাশিত হয় তাকে অনুজ্ঞা সূচক বাক্য বলে ।
উদাহরণঃ
১ । তোমার কথা জানতে ইচ্ছা করে ।
গঠন অনুযায়ী বাক্যের শ্রেণীবিভাগ:-
গঠন
অনুযায়ী বাক্য ৩ প্রকার- ১। সরল বাক্য,
২। জটিল বা মিশ্র বাক্য
৩। যৌগিক বাক্য।
সরল
বাক্য : যে বাক্যে একটি কর্তা বা উদ্দেশ্য ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া থাকে,
তাকে সরল বাক্য বলে।
উদাহরণঃ
১।
পুকুরে পদ্ম ফোটে। (উদ্দেশ্য- পুকুরে, সমাপিকা ক্রিয়া- ফোটে)
২।
মা শিশুকে ভালোবাসে। (উদ্দেশ্য- মা, সমাপিকা ক্রিয়া- ভালোবাসে)
জটিল
বা মিশ্র বাক্য : যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্য ও তাকে আশ্রয় বা অবলম্বন করে
একাধিক খণ্ডবাক্য থাকে, তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে।
জটিল বা মিশ্র বাক্য চেনার সহজ উপায় হল অর্থ
প্রকাশের জন্য পরস্পরের উপর নির্ভর করে, আবার যদি- তবু, অথচ-
তথাপি- এ রকম কিছু শব্দ থাকে তখন তাকে জটিল বাক্য বলা যেতে পারে।
উদাহরণঃ
১।
যত পড়বে তত শিখবে ।
২।
যদি সে আসে তবে আমি যাব।
যৌগিক
বাক্য : একাধিক সরল বাক্য কোন অব্যয় দ্বারা সংযুক্ত হয়ে একটি বাক্য গঠন
করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।
যৌগিক বাক্যে এবং, ও, আর, কিন্তু, অথবা, অথচ, কিংবা, বরং, তথাপি-
এগুলো দেখে সহজে চেনা যেতে পারে।
উদাহরণঃ
১।
সে এসেছিল কিন্তু দেখা হয়নি
২।
সে লেখা পড়ায় ভালো এবং বুদ্ধিমান।