সংক্ষিপ্ত আলোচনা – রূপনারানের কূলে



[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ebanglaschools এর সমস্ত আলোচনা কোনো পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গের জন্য নয়। সাধারণ এবং অতি সাধারণ পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্যই এই উদ্যোগ। তাদের কথা ভবেই এই আলোচনার প্রচেষ্টা। বিশিষ্টরা দূরে থাকুন । আমাদের একান্ত অনুরোধ যদি ছাত্র ছাত্রীরা এই আলোচনা থেকে উপকৃত হও তাহলে নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভূলে যেও না। ]    




সংক্ষিপ্ত আলোচনা – রূপনারানের কূলে


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্তিম লেখা কবিতা গুলির মধ্যে একটি কবিতা “রূপনারানের কূলে”। “শেষ লেখা” (১৯৪১) কাব্যগ্রন্থে এই কবিতাটি সংকলিত। রবীন্দ্রনাথ ভাবুক কবি বরাবর, তাঁর জীবনের ছোটবড় নানান সমস্যা জটলতা উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। জীবনের অন্তিম লগ্নে এসে বারবার ফিরে দেখতে চেয়েছেন তাঁর জীবনকে। আর সেখানে বারবারই মিলেছে দুঃখ- বেদনা- হতাশার ছবি। তাঁরই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এই কবিতায়। 

             কবি মনে করেছেন তিনি যেন বাস্তবিক রূপময় পৃথিবীর এক কোনে জেগে উঠেছেন। নদীর চলার মত তাঁর জীবন যতই এগিয়েছে কেবলই মনে হয়েছে এই জগত স্বপ্ন নয়, অর্থাৎ বাস্তবের প্রতিমূর্তি। স্বপ্নের সেই নির্মোহ এখানে নেই , আছে কেবল যন্ত্রণা আর শুধুই যন্ত্রণা। আসলে আমাদের প্রত্যেককে জীবনে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়েই সুখের বা আনন্দের পরিসরে পৌঁছাতে হয়। তিনি জানিয়েছেন রক্তের অক্ষরে- ‘আঘাতে আঘাতে’ ‘বেদনায় বেদনায়’ জর্জরিত হলেই নিজেকে অনুভব করা যায়। আর তখনই মানুষ খুঁজে পায় নিজেকে , আনন্দের পরিতৃপ্তি লাভ করে। কিন্তু এই যন্ত্রণাময় জীবন প্রতিটি মানুষের কাছে কঠিন সত্যের মত , অথচ এখান থেকে পালিয়ে আসার পথ কারোর নেই। এই কঠিন সত্যকে আঘাত বেদনার মধ্যে দিয়েই উপলব্ধি করতে হয়। রবীন্দ্রনাথ এই কঠিন সত্যকেই জীবন দিয়ে ভালোবেসেছেন। তাঁর বিশ্বাস এই সত্য কখনো কাউকে বঞ্চনা করে না। আত্মপরিচয়ে তিনি বলছেন “ সত্যের লক্ষণই এই যে , সমস্তই তার মধ্যে এসে মেলে”। আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করতে পারলেই জীবনে সঠিক আনন্দ আসে। সেকারনেই সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করবার জন্য তিনি জীবনের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি মনে করেন মৃত্যুতেই জীবনের সব দেনা শোধ করে দেওয়া যাবে। সুতরাং জীবনের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ।



















































































copywrite ebanglaschools পুনর্মুদ্রণযোগ্য নয়।