সংক্ষিপ্ত আলোচনা - মহুয়ার দেশ


[ বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ebanglaschools এর সমস্ত আলোচনা কোনো পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গের জন্য নয়। সাধারণ এবং অতি সাধারণ পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীদের জন্যই এই উদ্যোগ। তাদের কথা ভবেই এই আলোচনার প্রচেষ্টা। বিশিষ্টরা দূরে থাকুন । আমাদের একান্ত অনুরোধ যদি ছাত্র ছাত্রীরা এই আলোচনা থেকে উপকৃত হও তাহলে নীচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে ভূলে যেও না। ]    



সংক্ষিপ্ত আলোচনা - মহুয়ার দেশ



'মহুয়ার দেশ' এই কবিতাটি সমর সেনের লেখা ‘কয়েকটি কবিতা’ কাব্য গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। সমর সেনের এই কবিতাটি মূলত ভাব ভিত্তিক একটি কবিতা, যেখানে কবিমনের প্রকাশ ঘটেছে। আমাদের প্রত্যেকের মনেই একটি আকাঙ্ক্ষার জায়গা থাকে যে একঘেয়েমি জীবন থেকে ক্ষণিকের মুক্তি কীভাবে লাভ করা যায়। কবি মন ও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিনিয়ত একঘেয়েমি অভ্যাসে তিনিও ক্লান্তি অনুভব করেছেন এবং কীভাবে এই ক্লান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তারই পথ খুঁজেছেন বার বার। নগর জীবনের ইট কাঠ পাথরের মাঝে যন্ত্র সভ্যতার অবাধ বিচরণ মানুষের মনের ভাব ভালোবাসাকে একেবারেই মুছে দিয়ে ক্রমাগত যন্ত্রে পরিনত করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে শহরের বুকে ছুটে চলা দম দেওয়া পুতুল গুলিও মানুষ। সেও রক্ত মাংসে গড়া এক নিস্পাপ প্রাণ। তারও নিজস্ব চাহিদা আছে, কিন্তু আধুনিক সভ্যতা তাকে কোনো ভাবেই প্রকাশ হতে দিচ্ছে না। কবি এই জীবনের সমর্থক নন। সেকারনেই কবি বলেন “ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে , শীতের দুঃস্বপ্নের মতো”। কারণ কবি মনে করেন, শহরের বুক চিঁড়ে যে সূর্যের আলো সন্ধ্যার আকাশে দেখা দেয় এই সৌন্দর্য চিরায়ত নয়। কবি মন তাই দূর থেকে অনুভব করেন গ্রাম বাংলার সৌন্দর্যকে। যেখানের প্রাকৃতিক পরিবেশ কবিকে মহুয়ার রস পানের মন মোহিত করবে। যেখানে থাকবে না ক্রমাগত ছুটে চলার অভিপ্রায় , থাকবে না কোনো ক্লান্তি। শুধু পথের দুধারে থাকা দেবদারু ও মহুয়ার গাছের ছায়া কবিকে আচ্ছাদিত করবে , নিঃসঙ্গতাময় জীবনকে আলোড়িত করবে। এমন এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশেই কবি ছুটে চলে যেতে চান।
কবিতার দ্বিতীয় অংশটি একটি গ্রামের চিত্র। কবি অনুভব করেন সেই আকাঙ্ক্ষিত গ্রাম কবিকে সেই অনুভূতি আর দিতে পারে না। সেখানেও কোনো স্নিগ্ধতা নেই আছে কয়লা খনির গভীর বিশাল শব্দ। শহুরে জীবনের থেকেও কয়লা খনির জীবন আরো ভয়াবহ। সেখানে প্রবল উত্তাপের মাঝে সারি সারি শ্রমিকেরা কেবল যন্ত্রের মত জীবিকার জন্য একমুঠো ভাতের জন্য লড়ে যান। তাদের কোনো ক্লান্তি নেই। এমন এক পরিবেশ কখনই কবিকে স্নিগ্ধতার রসে ভেজাতে পারেন না। বরং ব্যথা দেয় বারবার। শিশির মাখা সবুজ সকালেও ধুলোর কলঙ্ক গায়ে মেখে কবিকে বেঁচে থাকতে হয়, আর ঘুমহীন ক্লান্ত চোখে দুঃস্বপ্নরা হানা দিয়ে যায়। মহুয়ার গন্ধের বদলে মহুয়ার রস পান করেই ভূলে থাকতে হয় তাকে। আর তখন মনে হয় এই শহরও অতখানি যন্ত্রে পরিনত হয়নি। এখানেই গ্রাম ও শহর জীবন এক হয়ে যায় আর কবিমন রিয়েলিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে কল্পনার জগতে আশ্রয় নেন বারবার।  













copywrite ebanglaschools
পুনর্মুদ্রণযোগ্য নয়।

12 comments:

  1. আমি অনেক সাহায্য পেলাম এই খান থেকে তাই অনেক অনেক ধন্যবাদ

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক অনেক ভালোবাসা।
      #ebanglaschools

      Delete
  2. ভালো লাগলো পড়ে

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক অনেক ভালোবাসা।
      #ebanglaschools

      Delete
  3. ধন্যবাদ স্যার কিন্তুু আমার এই টপিক এর কিছু কোশ্চেন আর আনসার চাই যদি দেন তাহলে আমি খুব উপকৃত হবো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যে কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারো। ফেসবুক পেজে মেসেজ করতে পারো।
      অনেক অনেক ভালোবাসা।
      #ebanglaschools

      Delete
  4. প্রথমেই বলি আপনাদের ঘোষণা টি ছিলো অতীব সুন্দর.... আর কিছু কিছু অতীপন্ডিত
    সবসময় থাকেন যাদেরকে আপনার অতিসুন্দর উপস্থাপন ও ভালো লাগবে না!!

    আমি বলবো এটা আপনাদের দারুন প্রচেষ্টা এবং তার ফল আমাদের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে;অন্তত তো ধারণাটা পরিষ্কার হচ্ছে ভালোভাবে!! খুব সুন্দর, আবার বলি ওপরের ঘোষণা টা মন কেড়ে নিয়েছে, দয়া করে এটা প্রতিটি ব্লগেই রাখবেন, অতীপন্ডিতদের পড়ার দরকার নাই, আমরা আছি!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. অনেক অনেক ভালোবাসা।
      #ebanglaschools

      Delete
  5. উপকৃত হলাম।

    ReplyDelete
  6. খুব সুন্দর

    ReplyDelete
  7. ধন্যবাদ স্যার খুব উপকৃত হলাম ♥️👌

    ReplyDelete