Showing posts with label BOLAKA. Show all posts
Showing posts with label BOLAKA. Show all posts

তোমার শঙ্খ ধুলায় প'ড়ে

তোমার শঙ্খ ধুলায় প'ড়ে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তোমার শঙ্খ ধুলায় প'ড়ে,
     কেমন করে সইব।
বাতাস আলো গেল মরে
     এ কী রে দুর্দৈব।
লড়বি কে আয় ধ্বজা বেয়ে,
গান আছে যার ওঠ-না গেয়ে,
চলবি যারা চল্‌ রে ধেয়ে,
     আয় না রে নিঃশঙ্ক।
ধুলয় পড়ে রইল চেয়ে
     ওই যে অভয় শঙ্খ।
চলেছিলাম পূজার ঘরে
     সাজিয়ে ফুলের অর্ঘ্য।
খুঁজি সারাদিনের পরে
     কোথায় শান্তি-শর্গ।
এবার আমার হৃদয়-ক্ষত
ভেবেছিলাম হবে গত,
ধুয়ে মলিন চিহ্ন যত
     হব নিষ্কলঙ্ক।
পথে দেখি ধুলায় নত
     তোমার মহাশঙ্খ।
আরতি-দীপ এই কি জ্বালা।
     এই কি আমার সন্ধ্যা।
গাঁথার রক্তজবার মালা?
     হায় রজনীগন্ধা।
ভেবেছিলাম যোঝাযুঝি
মিটিয়ে পাব বিরাম খুঁজি,
চুকিয়ে দিয়ে ঋণের পুঁজি,
     লব তোমার অঙ্ক।
হেনকালে ডাকল বুঝি
     নীরব তব শঙ্খ।
যৌবনেরি পরশমণি
     করাও তবে স্পর্শ।
দীপক-তানে উঠুক ধ্বনি
     দীপ্ত প্রাণের হর্ষ।
নিশার বক্ষ বিদায় করে
উদ্‌বোধনে গগন ভরে
অন্ধ দিকে দিগন্তরে
     জাগাও-না আতঙ্ক।
দুই হাতে আজ তুলব ধরে
     তোমার জয়শঙ্খ।
জানি জানি তন্দ্রা মম
     রইবে না আর চক্ষে।
জানি শ্রাবণধারা-সম
     বাণ বাজিয়ে বক্ষে।
কেউ বা ছুটে আসবে পাশে,
কাঁদবে বা কেউ দীর্ঘশ্বাসে,
দুঃস্বপনে কাঁপবে ত্রাসে
     সুপ্তির পর্যঙ্ক।
বাজবে যে আজ মহোল্লাসে
     তোমার মহাশঙ্খ।
তোমার কাছে আরাম চেয়ে
     পেলাম শুধু লজ্জা।
এবার সকল অঙ্গ ছেয়ে
     পরাও রণসজ্জা।
ব্যাঘাত আসুক নব নব,
আঘাত খেয়ে অটল রব,
বক্ষে আমার দুঃখে তব
     বাজবে জয়ডঙ্ক।
দেব সকল শক্তি, লব
     অভয় তব শঙ্খ।
  রামগড়, ১২ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১

বলাকা ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা

ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ওরে  নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
     ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
     আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ ক'রে
     পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
     আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
 
খাঁচাখানা দুলছে মৃদু হাওয়ায়;
     আর তো কিছুই নড়ে না রে
     ওদের ঘরে, ওদের ঘরের দাওয়ায়।
ওই যে প্রবীণ, ওই যে পরম পাকা,
চক্ষুকর্ণ দুইটি ডানায় ঢাকা,
ঝিমায় যেন চিত্রপটে আঁকা
     অন্ধকারে বন্ধ করা খাঁচায়।
     আয় জীবন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
 
বাহিরপানে তাকায় না যে কেউ,
     দেখে না যে বাণ ডেকেছে
     জোয়ার-জলে উঠছে প্রবল ঢেউ।
চলতে ওরা চায় না মাটির ছেলে
মাটির 'পরে চরণ ফেলে ফেলে,
আছে অচল আসনখানা মেলে
     যে যার আপন উচ্চ বাঁশের মাচায়,
     আয় অশান্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
 
তোরে হেথায় করবে সবাই মানা।
     হঠাৎ আলো দেখবে যখন
     ভাববে এ কী বিষম কাণ্ডখানা।
সংঘাতে তোর উঠবে ওরা রেগে,
শয়ন ছেড়ে আসবে ছুটে বেগে,
সেই সুযোগে ঘুমের থেকে জেগে
     লাগবে লড়াই মিথ্যা এবং সাঁচায়।
     আয় প্রচণ্ড, আয় রে আমার কাঁচা।
 
শিকল-দেবীর ওই যে পূজাবেদী
     চিরকাল কি রইবে খাড়া।
     পাগলামি তুই আয় রে দুয়ার ভেদি।
ঝড়ের মাতন, বিজয়-কেতন নেড়ে
অট্টহাস্যে আকাশখানা ফেড়ে,
ভোলানাথের ঝোলাঝুলি ঝেড়ে
     ভুলগুলো সব আন্‌ রে বাছা-বাছা।
     আয় প্রমত্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
 
আন্‌ রে টেনে বাঁধা-পথের শেষে।
     বিবাগী কর্‌ অবাধপানে,
     পথ কেটে যাই অজানাদের দেশে।
আপদ আছে, জানি অঘাত আছে,
তাই জেনে তো বক্ষে পরান নাচে,
ঘুচিয়ে দে ভাই পুঁথি-পোড়োর কাছে
     পথে চলার বিধিবিধান যাচা।
     আয় প্রমুক্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
 
চিরযুবা তুই যে চিরজীবী,
     জীর্ণ জরা ঝরিয়ে দিয়ে
     প্রাণ অফুরান ছড়িয়ে দেদার দিবি।
সবুজ নেশায় ভোর করেছি ধরা,
ঝড়ের মেঘে তোরি তড়িৎ ভরা,
বসন্তেরে পরাস আকুল-করা
     আপন গলার বকুল-মাল্যগাছা,
     আয় রে অমর, আয় রে আমার কাঁচা।
 
 
  শান্তিনিকেতন, ১৫ বৈশাখ, ১৩২১

বলাকা উৎসর্গ

উৎসর্গ
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


 
          আপনারে তুমি সহজে ভুলিয়া থাক,
      আমরা তোমারে ভুলিতে পারি না তাই।
          সবার পিছনে নিজের গোপনে রাখ,
      আমরা তোমারে প্রকাশ করিতে চাই।
          ছোটোরে কখনো ছোট নাহি কর মনে,
      আদর করিতে জান অনাদৃত জনে,
প্রীতি তব কিছু না চাহে নিজের জন্য,
      তোমারে আদরি আপনারে করি ধন্য।
 
                       স্নেহাসক্ত
                                   শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
 
 
৭ মে ১৯১৬  তোসা-মারু জাহাজ, বঙ্গসাগর

উচ্চ মাধ্যমিক - ২০১৯ বাংলা প্রশ্নপত্র সম্ভাব্য (BENGALI QUESTION PAPER)


উচ্চ মাধ্যমিক - ২০১৯
বাংলা প্রশ্নপত্র (সম্ভাব্য)  
গল্প:
  আমি কি তা দেখতে পাচ্ছিসনে-গল্প অবলম্বনে বুড়ির বক্তব্যের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর
  দেখতে দেখতে প্রচণ্ড উত্তেজনা ছড়ালো চারিদিকে - কারণ আলোচনা কর
  শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল- ধর্মান্ধতার পরিবর্তে এক অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এই গল্পের সুর; আলোচনা কর
  দর়দের চেয়ে ছোঁয়াচে  কিছুই নেই এই জগতে - কোন প্রসঙ্গ? মন্তব্যের কারণ আলোচনা কর
  খেতে পাইনি বাবা আমায় খেতে দাও- গল্পে  তৎকালীন সমাজের বাস্তবতার যে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে তা আলোচনা কর
  মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়ির অবস্থা শোচনীয় - বাড়ির অবস্থা শোচনীয় কেন?
  নিখিল ভেবেছিল বন্ধুকে বলবে এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না-  কোন প্রসঙ্গে ভাবনা ? এই ভাবনায় নিখিলের চরিত্রে কোন দিকে উঠে আসে?
  সেই বাদা টা বড় বাড়িতে থেকে যায় অচল হয়ে -বাদা কি?  তা বড় বাড়িতে অচল হয়ে যায় কেন?
  তার চোখ এখন বাদার  কামটের মতো হিংস্র - কে কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল কারণ আলোচনা কর

কবিতা:
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম আপনার রূপ - প্রসঙ্গ বিচার কর
জানিলাম জগৎ স্বপ্ন নয়-  তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর
মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে-  কিভাবে দেনা শোধ করা যাবে আলোচনা কর
আমার ক্লান্তির ওপড়ে ঝরুক মহুয়া ফুল নামক মহুয়ার গন্ধ - কবির এমন ইচ্ছার কারণ কি
ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরেফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো - নগর জীবনের যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য কবিতায় তা আলোচনা কর
সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে, দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য  -  মন্তব্য ব্যাখ্যা কর প্রসঙ্গে কবির মনোভাব আলোচনা কর
কেনো তাবে লেখা , কেন তবে গান গাওয়া , কিসের মূল্যবোধ - প্রসঙ্গ বিচার কর
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে বিধির বিচার চেয়ে- কবির এমন মন্তব্যের কারণ কি
ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতায় কবি জননীকে ক্রন্দনরতা বলেছেন কেন? এই পরিস্থিতিতে  কি করা উচিত বলে মনে হয়


নাটক:
এই ঘরের মধ্যে জীবন কি উপলব্ধি করা যাবে না হাসিও পাবেনা- নাটক অনুসরণে তাৎপর্য বিচার করো
না জীবনের কোথাও জীবনের খোরাক হাসির খোরাক নেই- বক্তা কে?  এমন মন্তব্যের কারণ কি?
এবার নিশ্চয়ই তোকে খুব হাসি পাবে উক্তিটির মধ্য দিয়ে নাট্যকার কি বুঝিয়েছেন আলোচনা কর।
বিভাব নাটকের নাট্য ভাবনা এবং অভিনবত্ব দিকটি আলোচনা কর
ওথেলোর সেই কথাগুলো মনে আছে তোমার- নানা রঙের দিন নাটকটির শেষ অংশটির তাৎপর্য আলোচনা কর
নানা রঙের দিন নাটক অবলম্বনে রজনীকান্ত চরিত্রটি আলোচনা কর

ভারতীয় গল্প কবিতা:
পাঞ্জা সাহেবের পৌঁছে আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি- আশ্চর্য ঘটনার বিবরণ দাও
মায়ের বান্ধবী আমাদের সমস্ত ঘটনাটা শোনালেন - ঘটনাটি উল্লেখ করে বক্তার বক্তব্য আলোচনা কর
বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল কেউ খুব, আর কেউ কাদেনি- প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা কর
জয় তোরনে ঠাসা মোহনীয় রোম বানাল কে?  মোহনীয় রোম বলা হয়েছে কেন? উদ্ধৃত অংশটির তাৎপর্য আলোচনা কর
সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা/ কিংবা জয় তোরনে ঠাসা মোহনীয় রোম / বানালো কে? -  প্রভৃতি প্রশ্নের মধ্য দিয়ে কবির যে সমাজ ইতিহাস চেতনার পরিচয় ফুটে ওঠে তা আলোচনা কর

সহায়ক পাঠ:
কলকাতার ইটের পাঁজরে লুকিয়ে আছে ভালবাসার ঝর্ণা - গল্প অবলম্বনে উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
ইংরেজের জেলখানায় হেঁট হয়ে ঢুকতে যে রাগ হচ্ছিল লেখক এর – গল্প অবলম্বনে জেলখানা ভ্রমণ অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও
৩। তাকে বলা হত হাতি বেগার- হাতি বেগার কি। কী ভাবে তা বন্ধ হয়েছিল।
৪। তোমার হাত বাড়াও তাকে সাহায্য করো- গল্প অবলম্বনে উক্তির তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
৫। সেই দুটো জ্বলন্ত চোখ আমাকে থেকে থেকে পাগল করে- এমন মন্তব্যের কারন আলচনা কর।
৬। চেং মান এর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে- চেংমান কে । তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল কেন।

শিল্প - সাহিত্যের ইতিহাস:
পট শব্দের অর্থ কি বাংলায় লোকশিল্প হিসেবে পট শিল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
বাংলার চিত্রকলায় যামিনী রায়ের অবদান আলোচনা কর।
বাংলা চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা কর ।
বাংলা সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা কর ।
বাংলা সিনেমায় মৃণাল সেনের অবদান আলোচনা কর।
বাংলা বিজ্ঞান চর্চায় বিধান চন্দ্র রায়ের অবদান আলোচনা কর
বাংলা বিজ্ঞান চর্চায় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের অবদান আলোচনা কর ।
বাংলা চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাদম্বিনী বসু গঙ্গোপাধ্যায় পরিচয় দাও।

ভাষাতত্ত্ব:
উদাহরণসহ ধ্বনিমূল সহধ্বনি পার্থক্য বুঝিয়ে দাও
রূপমূল কাকে বলে প্রকার কি উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে দাও
গঠনগত দিক থেকে বাক্য কয় প্রকার আলোচনা কর
বাক্যের অর্থগত শ্রেণীবিভাগ গুলি আলোচনা করো
শব্দার্থ পরিবর্তনের প্রধান ধারা গুলি উল্লেখ করে তার পরিচয় দাও
শব্দার্থ পরিবর্তনের কারণগুলি আলোচনা কর


রচনাঃ
১। বিজ্ঞান ও কুসংস্কার     
২। বাংলার ঋতু   
৩। পরিবেশ রক্ষায় ছাত্র সমাজ       
৪। মান্না দে       
৫। জগদীশচন্দ্র বসু            
৬। একটি বর্ষণ মুখর দিন 
৭। নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী   
৮। এ পি জে আব্দুল কালাম
৯। শিষ্টাচার  ও খেলাধুলা