Showing posts with label CLASS 12 POEM. Show all posts
Showing posts with label CLASS 12 POEM. Show all posts

HIGHER SECONDARY EXAMINATION SUGGESTION - BENGALI 2019


HIGHER SECONDARY EXAMINATION
SUGGESTION 2019

ebanglaschools এ সকলকে স্বাগত। আগত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। 


বাংলা প্রশ্ন কমন পেতে এখনই click করো নীচের link এ। 


Thank You

Co-oparate by ebanglaschool 

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন - ব্রেটল্ড ব্রেখট

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন
ব্রেটল্ড ব্রেখট

কে বানিয়ে ছিল সাত দরজাওয়ালা থিবস?  বইয়ে লেখে রাজার নাম
রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত?
আর বেবিলন এতবার গুঁড়ো হলো , কে আবার গড়ে তুলল এতবার ?
সোনা ঝকঝকে লিমা যারা বানিয়েছিল তারা থাকতো কোন বাসায় ?
চীনের কাচের যখন শেষ হল সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা?
জয়তোরনে ঠাসা মোহনীয় রোম
বানালো কে ? কাদের জয় করল সিজার ?
এত যে শুনি বাইজেনটিয়াম , সেখানে কি সবাই প্রাসাদেই থাকতো ?
এমনকি উপকথার আটলান্টিস , যখন সমুদ্র তাকে খেল
ডুবতে ডুবতে সেই রাত্রে চিৎকার করে উঠেছিল ক্রীতদাসের জন্য
ভারত জয় করেছিল তরুণ আলেকজান্ডার
একলাই না কি ?
গলদের নিপাত করেছিল সিজার নিদেন একটা রাধুনী তো ছিল ?
বিরাট আর্মাডা যখন ডুবল ,স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব
আর কেউ কাদেনি ?
সাত বছরের যুদ্ধ জিতে ছিল দ্বিতীয় ফ্রেডারিক
কে জিতেছিল ?একলা সে?
পাতায় পাতায় জয়
য়োৎসবের ভোজ বানাত কারা ?
দশ দশ বছরে এক একজন মহামানব
খরচ মেটাতো কে?
ত সব  খবর!
কত সব প্রশ্ন!

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে - মৃদুল দাশগুপ্ত


ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
মৃদুল দাশগুপ্ত

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে
এখন যদি না থাকি
তবে কেন এ লেখা, কেন গান গাওয়া
কেন তবে আকাআকি ?


নিহত ভাইদের সব দেহ দেখে
না -ই  যদি হয় ক্রোধ
কেন ভালোবাসা, কেন বা সমাজ
কীসের মূল্যবোধ !


যে-মেয়ে নিখোঁজ, ছিন্নভিন্ন
জঙ্গলে তাকে পেয়ে
আমি কি তাকাব আকাশের দিকে
বিধির বিচার চেয়ে ?


আমি তা পাই না যা পারি কেবল
সে-ই কবিতায় জাগে
আমার বিবেক ,আমার বারুদ
বিস্ফোরণের আগে

আমি দেখি - শক্তি চট্টোপাধ্যায়


আমি দেখি

শক্তি চট্টোপাধ্যায়


গাছগুলো তুলে আনো, বাগানে বসাও
আমাদের দরকার শুধু গাছ দেখা
গাছ দেখে যাওয়া
গাছের সবুজ টুকু শরীরে দরকার
আরোগ্যের জন্য ওই সবুজের ভীষণ দরকার

বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন
বহুদিন জঙ্গলে যায়নি
বহুদিন শহরেই আছি
শহরের অসুখ হা করে কেবল সবুজ খায়
সবুজের অনটন ঘটে….

তাই বলি, গাছ তুলে আনো
বাগানে বসাও আমি দেখি
চোখ তো সবুজ চায়!
দেহ চায় সবুজ বাগান
গাছ আনো , বাগানে বসাও
আমি দেখি ।।

মহুয়ার দেশ - সমর সেন


মহুয়ার দেশ

 সমর সেন
মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে
অলস সূর্য দেয় এঁকে
গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ,
আর আগুন লাগে জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।
সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়
ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে
শীতের দুঃস্বপ্নের মতো।
অনেক, অনেক দূরে আছে মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ,
সমস্তক্ষন সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে
দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য,
আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে।
আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল,
নামুক মহুয়ার গন্ধ।


এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে
মাঝে মাঝে শুনি
মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির
গভীর, বিশাল শব্দ,
আর শিশিরে-ভেজা সবুজ সকালে
অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক,
ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়
কিসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।

শিকার - জীবনানন্দ দাশ



শিকার

জীবনানন্দ দাশ
ভোর;
আকাশের রং ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল:
চারিদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছ টিয়ার পালকের মতো সবুজ।
একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে:
পাড়াগাঁর বাসরঘরে সব চেয়ে গোধূলি-মদির মেয়েটির মতো;
কিংবা মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে-মুক্তা আমার নীল মদের
গেলাসে রেখেছিলো
হাজার-হাজার বছর আগে এক রাতে- তেম্নি-
তেম্নি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।
হিমের রাতে শরীর 'উম্' রাখবার জন্য দেশোয়ালীরা সারারাত মাঠে
আগুন জ্বেলেছে-
মোরগ ফুলের মতো লাল আগুন;
শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;
সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;
হ'য়ে গেছে রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।
সকালের আলোয় টলমল শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের
সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।
ভোর;
সারারাত চিতাবাঘিনীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে-বাঁচিয়ে
নক্ষত্রহীন, মেহগনির মতো অন্ধকারে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে ঘুরে-ঘুরে
সুন্দর বাদামী হরিণ এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করছিলো।
এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে;
কচি বাতাবী লেবুর মতো সবুজ সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে-ছিঁড়ে খাচ্ছে;
নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে সে নামলো-
ঘুমহীন ক্লান্ত বিহ্বল শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেগ দেওয়ার জন্য;
অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে ভোরের রৌদ্রের মতো একটা বিস্তীর্ণ
উল্লাস পাবার জন্য;
এই নীল আকাশের নিচে সূর্যের সোনার বর্শার মতে জেগে উঠে
সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দেবার জন্য।
একটা অদ্ভুত শব্দ।
নদীর জল মচকাফুলের পাপড়ির মতো লাল।
আগুন জ্বললো আবার- উষ্ণ লাল হরিণের মাংস তৈরি হ'য়ে এলো।
নক্ষত্রের নিচে ঘাসের বিছানায় ব'সে অনেক পুরানো শিশিরভেজা গল্প;
সিগারেটের ধোঁয়া;
টেরিকাটা কয়েকটা মহিষের মাথা;
এলোমেলো কয়েকট বন্দুক- হিম- নিঃস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম।

রূপনারানের কূলে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


রূপনারানের কূলে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রূপনারানের কূলে
জেগে উঠিলাম,
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ,
চিনিলাম আপনারে
আঘাতে আঘাতে
বেদনায় বেদনায়;
সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।
আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন,
সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে,
মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।